ভারত থেকে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর যখন দেশের বাজারের পিয়াজের দাম দিন দিন বাড়ছে। ঠিক তখন থেকেই মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে টেকনাফ স্থলবন্দরে। তবে এতেও বাজারে পিয়াজের দাম কমেনি।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) নয়টি ট্রলারে করে সাতজন ব্যবসায়ীর কাছে ৭৯২ মেট্রিকটন পেঁয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে। এসব পেঁয়াজ খালাস করে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে খালাসের অপেক্ষায় স্থল বন্দরের জেটিতে নোঙ্গর করা রয়েছে আরও চারটি ট্রলারে প্রায় সাত হাজার বস্তা পেঁয়াজ। প্রতিটি বস্তায় ৪০ কেজি পিয়াজ রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আবসার উদ্দিন।
তিনি বলেন, ভারত পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার পর একমাত্র মিয়ানমার হচ্ছে পিয়াজ আমদানির ভরসা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে ৩৩ হাজার ৭৩ মেট্রিকটন পিয়াজ এসেছে। এরমধ্যে শুক্রবার সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিন থাকায় পিয়াজ আমদানি করা হয়নি। তবে শনিবার সকালে সাতজন ব্যবসায়ী নয়টি ট্রলারে করে ৭৯২ দশমিক ৫৩৭ মেট্রিকটন পিয়াজ আনেন টেকনাফ স্থলবন্দরে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আমদানিকারক বলেন, দেশের বাজারে পিয়াজের দাম বেড়েই চলছে।এরমধ্যে মিয়ানমারেরও পিয়াজ অনেক কমে এসেছে। হয়তো আর কিছুদিন মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আসতে পারে। কিছু স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কের মধ্যে থেকেও সংকট মোকাবেলা করতে মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আনছেন। তবে মিয়ানমারেও পিয়াজের দাম অনেক বেড়ে গেছে।
এদিকে, টেকনাফের বাজারে শনিবার সকাল থেকে রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত এ পিয়াজ প্রতিকেজি ১৯০-২১০ টাকায় বিক্রয় করা হচ্ছে বলে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন।
স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোট টেকনাফের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা পিয়াজভর্তি ট্রলারগুলো দ্রুতগতিতে খালাস করা হচ্ছে। শনিবার রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে পিয়াজ ভর্তি ৪৯টি ট্রাক দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
সূত্র, বিডি প্রতিদিন